ভিক্টর বাস। গাদাগাদি যাত্রীতে ভরা। পা ফেলার জায়গা নেই। বসা যাত্রীদের ওপর ঝেকে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীরা। কারও কাঁধে ব্যাগ। কারও পকেটে ফোন। ফোন বাজলেও রিসিভ করার সুযোগ নেই। প্রতিদিনের মতো আজও ব্যতিক্রম ছিল না। রাজধানীর উত্তরা থেকে সকাল ৮টায় যাত্রী বোঝাই ভিক্টর বাস কোকাকোলায় পৌঁছে।

গাদাগাদি যাত্রীদের মধ্যে একজনের পকেটের ফোন প্রায় হাওয়া। সিটে বসা এক যাত্রীর সতর্কতায় রক্ষা পায় ফোনটি। ভুক্তভোগী যাত্রীর চারপাশে যারা ছিল তাদের মধ্যে একজন নতুন বাজারে নেমে যায়। অন্য একজন বাঁশতলায়। তৃতীয়জন শাহজাদপুরে। তৃতীয়জনকে অনুসরণ করে বাঁশতলায় গিয়ে বাকী দুইজনের সাথে সবাইকে একসাথে হতে দেখতে পাওয়া যায়। দীর্ঘসময় তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। এদের মধ্যে যে প্রধান, মূলহোতা বাকী দুজনকে যাত্রীদের থেকে ফোন চুরির নানা পলিসির বিষয় শেয়ার করতে দেখা যায়।

বাঁশতলা থেকে আবার শুরু হয় ফোন চুরির মিশন। দীর্ঘ সময় তাদের গতিবিধি অনুসন্ধান করে জানা যায়, তারা প্রতিদিন যে কোনো এক কোম্পানির বাসকে টার্গেট করে চুরির মিশন শুরু করে। তাদের সাথে নির্দিষ্ট বাসের স্টাফদের সাথে রয়েছে গোপন চুক্তি। সেই চুক্তির অংশ হিসেবে ফোন চুরির সিন্ডিকেট সদস্যদের থেকে নেয়া হয় না কোনো ভাড়া। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই তিনজনের থেকে কোনো ভাড়া নিতে দেখা যায়নি। তারা প্রতিটি স্টেশনে নেমে যায়। যে বাসটি গাদাগাদি যাত্রীতে ভরা সেই বাসে উঠে পড়ে এক সাথে।

আজ সোমবার (২৫ জুলাই) ফোন চুরের সিন্ডিকেটটির টার্গেট ছিল ভিক্তর বাস। কেননা বাঁশতলায় ভিক্টর বাসে নামার পর তাদেরকে অন্য কোনো বাসে উঠতে দেখা যায়নি। তাদের মিশন সেটআপ করার পর আলাদা আলাদা হয়ে ফের ভিক্টর বাসে উঠতে দেখা যায়। তাদেরকে অনুসরণ পরের স্টেশন শাহজাদপুরে নামতে দেখা যায়। সেখানে কিছু সময় তাদের তিনজনকে একসাথে নানা বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

তবে প্রতিদিন সকাল বেলা অফিস সময় আর অফিস ছুটির পরে রাজধানীতে মোবাইল ফোন সিন্ডিকেটের মিশন জোরালোভাবে শুরু হয়।